আকাশ যখন চোখ ধাঁধিয়ে, নিল হরে বারি,
পড়ল যে খোঁজ ব্যাঙ যূগলের, ভীষন তাড়াতাড়ি!
ছিল তারা, দিব্যি সুখে, লিভ-ইন রিলেশানে
চ্যাং দোলা হয়ে ব্যাঙ যূগলের যাত্রা বিয়ের সনে!
পিছল মাথায়, টোপর যখন হড়কে নেমে যায়,
ইলাস্টিকের দড়ি তখন হলো যে সহায়।
অভ্যাস এতে ভিজলো ধুতি, শাড়ি, এবং গয়না,
ব্যক্তিগত জীবনে এমন অত্যাচার যে সয়না !!
অনেক কসরৎ করে যবে, মণ্ডপে আগমন,
ড্যাবড্যাব চোখে ভিড় কে দেখে ডরায় সর্বক্ষণ।
পুরোহিতের মন্ত্রপাঠে, প্রাণ করে যাই যাই !
বুঝলো তারা, বিবাহ, তা বড্ডো কঠিন ঠাঁই !!
সপ্তপদী’র নিয়মটা বেশ মনের মতো ছিল,
তুড়ুক লাফের বহরে তা সামাল দেওয়া গেলো।
শুভদৃষ্টি’র সময়টিতে বাঁধলো গোলযোগ,
বরের মাথা’র উপর পানে আটকে কনের চোখ!
টিউবেলাইট এর আলোর ডাকে বেচারা এক ফড়িং,
বরের টোপরের উপর নাচছে তিড়িং বিড়িং!
লোভাতুর কনের মুখে ঝরছে দেখে লালা,
কিন্তু এমন ভিড়ে, জিব্বা টি বের করতে বিষম জ্বালা!
এতক্ষন বরের চক্ষু ছিল টোপর ঢাকা,
কনের দৃষ্টি আনতে সঠিক, ফড়িং সামনে রাখা।
শুভদৃষ্টি’র শুভলগ্নে, ফড়িং দিলো লাফ।
বড় বাবাজি’র মুখগহবরে প্রবেশ এবং সাফ!
এই না দেখে কনে দেবী, বেজায় খেপে লাল!
গ্যাঙর গ্যাঙ ভাষায় তখন পাড়ল বেদম গাল!
ভাবছে লোকে, প্রেমালাপের বাড়ছে বুঝছি মাত্রা,
এখনি প্রকৃষ্ট সময়, বাসর ঘরে যাত্রা।
বাসর ঘরের ছিদ্র দিয়ে, যুগল পগার পার!
সেই খুশিতে আকাশ ভেঙে জলের ভীষণ ধার !!
আনন্দে আটখানা মানব, অনুষ্ঠান কে ভুলে,
বরুন দেব ও দিলেন বারি, সকল দুয়ার খুলে।
কয়েক দিনের বর্ষণে যেই উঠলো ফুঁসে নদী,
বন্যা ভীতি জাগলো মনে, ভাসি এবার যদি!
ব্যাঙ যুগলের পড়লো যে খোঁজ, ভাঙতে হবে বিয়ে।
বেশি প্রেমেই দুর্গতি আজ, আন তো ধরে নিয়ে!
ততক্ষনে ব্যাঙ যুগল, দিয়েছে পিঠটান,
অত্যাচারের অনাস্থানে জোর বেঁচেছে জান!
সুদূর গঞ্জের পুকুর পারে, খাচ্ছে তারা দোল।
কচুপাতা’র আড়ালে তাই, বেজায় হট্টগোল !!