শিউলি গন্ধ, পাচ্ছো কি আজ, মন টা কি আনচান?
শ্বেতশুভ্র কাশফুল কি, আনছে গলায় গান?
নবরূপে সাজতে কি আজ, চাইছে বড় মন?
উত্তর টা হ্যাঁ যদি হয়, এটাই পুজো’র ক্ষণ
সাত সকালেই শয্যা ছেড়ে, উঠতে ইচ্ছে হয়?
আকাশবাণী’র মহালয়া বাঁধছে কি আজ লয়?
বীরেন ভদ্র হন যদি আজ, ভালোবাসা’র জন
নিশ্চিত করে জেনো তবে, এটাই পুজোর ক্ষণ
সুনীল আকাশ, হালকা বাতাস, মিষ্টি একটু রোদ
তারই মাঝে শুভ্র মেঘ টি, জাগায় যদি বোধ
অবুঝ মিষ্টি ভালোবাসায় রাঙে যদি মন
রাঙা মনে নিয়ো বুঝে, এটাই পুজোর ক্ষণ
চতুর্দিকে দেখো যদি, অলস কাজের গতি
অধৈর্য্যতা’র কু-আবেগে পড়ছে যদি যতি
গরিব গুর্বো দেখে যদি কাঁদতে চায় এ মন
অশ্রু মুছে বুঝতে হবে, এটাই পুজোর ক্ষণ
আড়ি গুলো আজ যদি হয় বেজায় দ্বিধাগ্রস্ত
ভাবের ঘরে দেখো যদি ভিড় জমেছে মস্ত
আড়ি থেকে ভাবের যাত্রা, হলে মরণপণ
কোলাকুলি সেরে বোঝা, এটাই পুজোর ক্ষণ
আনন্দ আর হাসির মাঝে, একটু সময় নিয়ে
গরিব ঢাকি’র মলিন ধুতি, বদলে দিতে গিয়ে
মনের পাখি যদি জোড়ে, সুখের আলাপন
প্রগলভতা করবে প্রমান, এটাই পুজোর ক্ষণ
পাড়ার পুজোয় কোমর বেঁধে, বালতি হাতা নিয়ে
খিচুড়ি আর লাবড়া পরিবেশন করতে গিয়ে
বৃদ্ধ ভিখারি’র আকুতি, কাঁদায় যদি মন
খাইয়ে সুখ টা বাতলে দেবে, এটাই পুজোর ক্ষণ
পাশের বাড়ি’র মিস্টু যখন, গাইবে স্টেজ এ গান
আদো গলায় উচ্চারণ টা ভরায় যখন প্রাণ
হাত তালি তে ভরায় আসর, যখন গুণীজন
চওড়া বুক টা বুঝিয়ে দেবে, এটাই পুজোর ক্ষণ
বিসর্জনের বাজনা যখন, মুচড়ে দেবে বুক
কান্না গলায় পাকবে দলা, লুক্কায়িত মুখ
বিষন্নতা লুকিয়ে রেখে, হাসবে জনগণ
আলিঙ্গনের আবেশে যে মিটবে পুজোর ক্ষণ