Following are some of the Poems written to explain and commemorate Durga Puja. Poems have been written as per each day, explaining the significance of that day.
মহালয়া’র গল্প
Mahalaya is the “Kick-off” event of our biggest festival, Durga Puja. Thought of summarizing the history and various stories involving this, in MY WAY! 🙂
আশ্বিনের এই শারদ প্রাতেঃ, থাকুক সবাই দুধে ভাতে
বেতারে তে হচ্ছে আবাহন
বিরু ভদ্র’র উদ্দাত্ত স্বর, করছে আপন, যে ছিল পর
মিষ্টি ছুটি’র কোলে অবগাহন
পিতৃপক্ষ নিলো বিদায়, দেবীপক্ষ চোখ মেলে চায়
এলো বুঝি নতুন সে এক ভোর
অমাবস্যা’র অন্ধকারে, ঢাকা কত অজানা রে
জানতে চাইলে,করবো নাকো জোর
স্বর্গীয় সব আপনজনে, আকুতি যে দুই নয়নে
অপেক্ষাতে, পিন্ড হবে দান
না হতে চায় কর্ণ কেহ, দানবীর সে, রাখলো দেহ
জীবদ্দশায় ভুলে পিন্ড দান
সেই অপরাধ করলো তাড়া, স্বর্গ দেশে হতচ্ছাড়া
বোর্ডিং আছে, ফুড যে তাহার নাই
অতএব সাবধান, জীবদ্দশায় এই বিধান
পিন্ড দান অবশ্যই হওয়া চাই
পুরানে আছে কথিত, মহিষ রাজা’র ভয়ে ভীত
যখন হলো, সমগ্র মেদিনী
শিব ঠাকুরের ভাৰ্য্যা, পারো, করেন প্রচুর শক্তি জড়ো
রূপ টি ধরেন ভুবন মোহিনী
মহিষ রাজ্যে এলেন তিনি, সিংহ পৃষ্ঠে অবস্থিনি
রূপের ছটায় মহিষ বাবু কাত
পাঠালেন সান্ত্রী সেনা, আনতে ডেকে, সেই ললনা
বিবাহ সম্পন্ন হতে হবে রাত
দূর্গা দেবী স্মিত মুখে, জানান তাদের বড় সুখে
আছেন তিনি স্বামী সন্তান নিয়ে
রেগে আগুন মহিষাসুর, ভয়ে সবাই ছুটলো যে দূর
ধরে বেঁধে আনতে হবে গিয়ে
মহালয়া’র সাঁঝ আঁধারে , দানব সেনা ধরলো ঘিরে
দেবী তবু থাকেন হাসি মুখে
দশটি হাতে দশভুজা, করেন শুরু মারণপূজা
শত্রু নিধন করেন মহা সুখে
এই না শুনে মহিষাসুর, ধরেন জোরে বেতালা সুর
যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি ধেয়ে যান
প্রস্তুত যে দশভুজা, উপহারের অস্ত্রে সাজা
অনায়াসে আক্রমণ ফেরান
তুমুল যুদ্ধ হলো সেথায়, দশটি দিন এর কোর্স তা হেথায়
মহিষাসুর হলেন কুপোকাত
বিজয়িনী দূর্গা মাতা, হলেন বিশ্বজগৎ ত্রাতা
মুছে দিয়ে অরাজক সে রাত
মহালয়ায় হয়ে শুরু, দশমী তে উড়ু উড়ু
মা জননী সারেন যে সব কাজ
সন্তানদের কাঁদিয়ে দিয়ে, বিসর্জনের বাদ্যি দিয়ে
কৈলাসেতে যাবেন চলে আজ
মহালয়া’র গল্প সারা, কোমর বেঁধে নাম রে তোরা
হতে হবে চক্র অবতার
পুজো’র সংখ্যা কম কিছু নয়, নানা রকম থিম এ যে হয়
লুটে নে ওই আনন্দভাণ্ডার
মহা ষষ্ঠী
রামচন্দ্র অসময়ে যুদ্ধ জোড়েন বড়
দেবলোক সেই সময়ে ঘুমে সড়গড়
ঘুম ভাঙাতে অকালবোধন, দূর্গা মা কে চাই
দেবী’র আশীর্বাদ বিনে, রাবন কঠিন ঠাঁই
মহা ষষ্ঠীর দিন টি বিশেষ, “কল্পারম্ভ” আজ
অবগুন্ঠন উঠবে আজি, দেখবো দেবীর সাজ
“আমন্ত্রণ” ও “অধিবাস” এ ষষ্ঠী হবে পূর্ণ
নুতন আলো’র আবাহনে, পুরাতন হোক জীর্ণ
মা পার্বতী’র সন্তানাদি, তারাও আছে সাথে
সন্তান প্রেম, শুভ কামনা, থাকুক হাতে হাতে
তাই তো আজি, সব মায়েরা, সাজান দূর্গা ঘট
সন্তানরা থাকুক ভালো, সরল জীবন পট
মায়ের উপোস, আনুক বয়ে, উপচে পরা শান্তি
পবিত্র এই আবেগে নেই, কোনো প্রকার ভ্রান্তি
মেয়ে বাপের বাড়ি এলো, আয় রে ছুটে সব
দূর্গা পুজো হলো শুরু, হোক না কলরব
মহা সপ্তমী
সূর্য্য দেবের ওঠার আগেই, মা গঙ্গা’র সনে
নবপত্রিকা যে সাজেন, জানুক জনে জনে
কলা গাছে ব্রাহ্মণী, আর কচু গাছে কালী
হলুদ গাছে দূর্গা স্বয়ং, মেলে শক্তি’র ডালি
কার্তিকী জয়ন্তী পত্রে, বিল্বপত্রে ভোলা
রক্তদন্তিকা যে থাকেন ডালিম পত্রে খোলা
অশোক পত্রে অবস্থিত শোকরহিতা দেবী
চামুন্ডা দেবী কে যে আজ মানকচুতে সেবী
লক্ষী দেবী থাকেন ধানে, হয়ে নবম পত্র
নবপত্রিকা পড়েন বাঁধা, বাঁধে পীতসুত্র
অপরাজিতা শাখাও থাকে বাঁধা, ধরে হাল
গঙ্গাস্নানে শুদ্ধ সবাই, থাকবে জীবনকাল
এবার সময় মহাস্নানের, মৃন্ময়ী মা রাজি
মূর্তি সম্মুখে তে আরশি, রাখলেন যে কাজী
আরশি স্নানে, দূর্গা দেবী’র হবে যে আজ স্নান
মায়ের রূপের ছটায় জগৎ, থাকবে যে অম্লান
প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র সময় এবার, জলভরা এক ঘটে
আম্রপল্লব থাকবে তাতে, নারিকেল এক বটে
ষোড়ষ উপাচারে পূজা, ভক্তিভরে করো
মায়ের আলোয় দুষ্ট দানব, ভয়ে জড়োসড়ো
মহা অষ্টমী
দেবী এখন শক্তিময়ী, শস্ত্রে বলীয়ান
অস্ত্রপূজো করে দেখাই তাহারি প্রমান
ন’টি শক্তি রূপে দেবী, হবেন যে পূজিত
অষ্টনায়িকারো হবে, পুজো প্রচলিত
ব্রাহ্মণী, মহেশ্বরী, কামেস্বরী, রূপে
বৈষ্ণবী, বরাহী, ইন্দ্রানী তে সপে
নরসিংহি আর চামুণ্ডাও নায়িকা বিশেষ
সবে মিলে দোষ ত্রুটি করিবেন শেষ
পূরানে কথিত আছে, অষ্টমী’র দিনে
দূর্গা দেবী ললাটে কালী মাতা এনে
চন্ড, মুন্ড, রক্তবীজে, করিলেন নিধন
পঙ্গু হলো মহিষাসুর, হারায়ে তার জন
দেবী রূপে কুমারী পূজা’র আছে চল
অগাধ ভক্তি সেথায়, নেই কোনো ছল
অবশেষে সন্ধি পূজা, অষ্টমীর শেষে
নবমী নাড়ছে কড়া, আজ দোরে এসে
মহা নবমী
মহাযুদ্ধের শেষ লগ্নে, মহিষাসুর ভীত
হারায়ে সব সান্ত্রী সেনা, একাই যুদ্ধে স্থিত
দেবীর শস্ত্রাঘাতে অসুর পেলো না আর ত্রাণ
সন্ধি পুজোর সময় কালেই হারালো সে প্রাণ
মহিষাসুরমর্দিনীকে নবমী তে পুজি
মহাস্নান রীতি মেনে হবে, সেটা বুঝি
ষোড়শোপচারে পুজো হবে দেবী সনে
বিদায়বেলার ব্যাথা উদয় হবে মনে মনে
বলি প্রথা ছিল বটে, আজকের এই দিনে
চালকুমড়া বাঁচায় যে প্রাণ, রক্তপাত বিনে
হোম যজ্ঞ, হবে যে আজ, দেবীর জয়গানে
শুভশক্তি’র বিজয় আবেশ, জাগুক আজি প্রাণে
নবমী নিশি ফুরোলে, আঁধার আসে নেমে
অশ্রুসজল নয়নে যে, জীবন যাচ্ছে থেমে
কৈলাশের ডাক যে অমোঘ, ফেরানো না যায়
আবার ফেরার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাও বিদায়
বিজয়া দশমী
প্রভাত কালে নিদ্রা শেষে, কেমন এ আকুতি
শূন্য মনে কেন যে আজ জীবন হারায় গতি
কেন যে আজ পুবের আকাশ করছে নিরানন্দ
কেন শুধুই হচ্ছে মনে, জীবনে নেই ছন্দ
উমা আজ সপরিবারে করছে যে গোছগাছ
কৈলাশ আজ দিচ্ছে যে ডাক ফুরায় মর্ত্য কাজ
শত কোটি অশ্রু সজল সন্তানাদি ফেলে
ভোলা বাবা’র ডাকে সে যে যাচ্ছে আজই চলে
যাবার কালেই দিলেন যে মা স্বপ্ন দেখা’র মতি
সেই স্বপ্নে বদলে যেন মানবতার স্থিতি
হিংসা স্বাহা হলো মহিষাসুর নিধনে
শান্তি বান ছুড়ে যে মা জাগান জনে জনে
এমন শান্তি থাক না জুড়ে, বিশ্ব ভুবন ময়
মানুষ যেন মানুষ থাকে, বলছে যে হৃদয়
একটি বছর যাবেই কেটে, কালের আপন দোলে
আসছে বছর মা যেন না ভাসেন অশ্রুজলে