রাবনের মাথা ব্যথা
রাবন বাবুর মন টা খারাপ, ছুটেছে তার ঘুম
বা দিক থেকে দ্বিতীয় মাথা, বাজছে যে দুম দুম
তাঁকে ছিল অম্রুতাঞ্জন, তার ও ফাঁকা শিশি
আর কোনো বাল্ম নেই যে ঘরে, দেশী কি বিদেশী
মন্দোদরী, সে তো গেল, কালই বাপের বাড়ি
কুম্ভকর্ণ, সেও খেলো, চার গামলা তাড়ি
তাড়ি’র জোরে নিদ্রা দেশে, গেছে কিছু আগে
মাস পাঁচ ছয়র ধাক্কা এবার, তখন যদি জাগে
ইন্দ্রজিত তো, উড়েই বেড়ায়, মেঘের দেশে বাস
এদিকে বেচারা বাপ এর উঠছে নাভিশ্বাস
কুচুটে ওই বিভীষণ টা, সেও গেছে চলে
নাকে ব্যাণ্ডেজ বেধে বোন্ টি, কাঁদছে তলে তলে
ভাবছে রাবন, কি করা যায়, কে টিপবে মাথা
মহল এর সব পরিচারক, এক থেকে এক যা ত়া
অশোক বাটিকা তে সীতা, দয়া করে যদি
বইয়ে দেবে দুগ্ধগঙ্গা, ছেড়ে রক্ত নদী
মাথা টেপার প্রস্তাব ত়া হলো প্রত্যাখ্যান
সীতা নাকি চেরিটাকে, থাবরেছে দুই খান
সেই রাগেতে রাবন ছুটে অশোক বোন্ এ যায়
দশটি মাথা লটর পটর, দুই দিকে দোল খায়
সেই দুলুনি করলো যে দূর, মাথা ব্যথার ব্যামো
রাবন খুশি, ভাবছে মনে, হলনা নিতে chemo
অতএব সে করলো যে ঠিক, সীতা হেথায় থাক
মাথার ব্যামোর ঔসাধি থাক, রাজ্য খানা যাক
নৈশ ভোজ
চতুর্দিকে বাজছে ডঙ্কা, যুদ্ধ হবে শুরু
রথের উপর রাবন রাজা, পেট টা গুরু গুরু
গত রাতের গুরুপাক টা, মানতে চায়নি পেট
এই সময়ে দিচ্ছে জানান, করবে মাথা হেট্
কৃষ্ণনগর হতে আনা সরভাজা টাই দোষী
শেষ পাতে তা খেয়ে তখন হযেছিলেন খুশি
নাকি নলেন গুড়ের পায়েস, হচ্ছে এখন যম
বেনারস এর ল্যাংড়া আমটি, সেই বা কিসে কম
জেলুসিল এর গোটা বোতল গলায় ঢালাই কাল
হয়নি দেখা expiry , মনে হয় ভেজাল
পেটের মধ্যে জোট বেধেছে, মিষ্টি, পায়েস, আম
জাল ঔসধি’র কিই বা সাধ্য, ছুটছে যে কাল ঘাম
ইন্দ্রজিত টা ভ্যাকেশন এ, কুম্ভকর্ণ ঘুমে
কাকে বা দেই দায়িত্ব টা, ডাকছে যেন যম এ
ভাবছি পাঠাই রাম এর কাছে, একটি ভগ্ন দূত
আজ “আব্বুলিশ”, আগামী কাল, লড়াই হবে জুৎ
ঘরের শত্রু বিভীসন টা, দিল যে মন্ত্রণা
আব্বুলিশ চলবে নাকো, যতই হোক যন্ত্রণা
এই না শুনে রাম বাবাজি, বাজিয়ে দিলেন শাঁখ
নিরুপায় হয়ে রাবন, বাজালেন তার ঢাঁক
পেটের জালায় কাতর রাবন, করেন ভারী যুদ্ধ
বানর সেনা বড্ড জালায়, মারবেন সব সুদ্ধ
রাম আবার স্কিম করে, লেলিয়ে দিলেন হনু
লেজ এর জোরে, দে পেটে চাপ, বিকল হলো তনু
কাতর স্বরে সারথী রে, বলেন রাজা রাবন
“রথ টা ঘোরাও, তা না হলে, আসবে হেথায় প্লাবন
পোশাক আষাক নষ্ট হবে, টিকবে না রে কেউ”
আজ্ঞা শুনে দেয় পিঠটান, পিছে সেনা’র ঢেউ
অবশেষে বাড়ি ফিরে গোসলখানায় যান
হালকা হলেন রাবন রাজা, করেন আবার স্নান
মনে মনে নেন যে ব্রত, যুদ্ধ চলা কালে
রাতের খাবার সমঝে খাবেন, টকে এবং ঝালে
কুম্ভকর্ণ কথা
রাবন গাথা অনেক হলো, অন্য চরিত গাই
বিপুলাকার কুম্ভকর্ণ, বাদ কেন যায় ভাই?
কোন অংশে খাটো মেজ, প্রকান্ড বীর যে সে
ঘুম এর রোগ টা থাকার দরুন, কম যায় সে কিসে?
কুম্ভকর্ণের চাকর যে সে, সুখের চাকরি আজ
ছ’টি মাসের মধ্যে শুধু, একটি দিন ই কাজ
মেজ ভাই এর ঘর খানা বেশ, শব্দ দূষণ মুক্ত
নাসিকা গর্জন এর আওয়াজ, ঘর এর সাথেই যুক্ত
কুম্ভকর্ণ’র পালঙ্ক টা, লোহায়, কাঠে, মোড়া
কুড়ি মিটার লম্বা যে সে, নাট-বল্টু জোড়া
কাঠ এর ফাকে ছারপোকা সব, আছে বড়ই সুখে
খাদ্য প্রচুর, অল্পায়াসে, যায় যে তোলা মুখে
এই ঘরেতে নেই যে কোনো, বৃহদাকার আয়না
কুম্ভকর্ণের রূপের সাথে, তা কিছুতেই যায়না
সখ এর মধ্যে আছে নরুন, নখ কাটিবার তরে
আকার তাহার কোদাল প্রমান, দেখলেই ভয় ধরে
ওঠেন যেদিন নিদ্রা হতে, ভাঙ্গেন যে আরমোড়া
তত্সহ ভাঙ্গে যে তার, খাটের পাটা জোড়া
কাঠের ফাঁকে লুক্কায়িত ছারপোকা দের দল
হুরমুরিয়ে দিল যে দৌড়, ভাঙছে বাসার কল
এমন সময় তরিঘরি, চাকর ব্যাটা আসে
তেলের গামলা কাঁধে নিয়ে, অন্যজন ও পাশে
পাঁচ মন তেল লাগবে বটে, মাখতে সারা বপু
দশ জওয়ান এর নেতা যে সে, নাম টি তাহার অপু
অপুর নজরদারি তে যে, হলো শুরু মর্দন
দশ জওয়ান এর ঘাম ছুটে যায়, পৌছে সবে গর্দন
তিন টি ঘন্টা দলাই মলাই, হলো মাখা তেল
স্নান এর সময় হবে আবার, নতুন সে এক খেল
কুম্ভকর্ণ দাড়ান উঠে, বাড়ান একটি পা
মহল যেন উঠলো কেপে, পড়ল যেন ঘা
রাবন রাজা আসেন ছুটে, মনে বড় ভয়
উল্লসিত হন যে দেখে, ভাই কে তৈলময়
স্নানাগার এর দিকে চলেন, কুম্ভকর্ণ বীর
দেখতে যে পায় সবাই তাহার, উন্নত সেই শির
স্নান ঘরেতে দন্ডায়মান, হস্তি-যুগল বেশ
শুন্ডে করে জল ছড়াবে, থাকবে বৃষ্টি-রেশ
ঘন্টা-খানেক স্নান এর পরে, হস্তি-যুগল কাবু
গাত্র-মোছা সেরে হলেন, কুম্ভকর্ণ বাবু
ছমাসের অভুক্ত পেট, জলছে আগুন তায়
লঙ্কাবাসী ভয়ে ভাবে, “আমার খাবার যায়”
রাবন রাজা, সু-প্রশাসক, বড়ই চিন্তাশীল
খাদ্যদ্রব্য জুটিয়ে রাখেন, পাহাড় প্রমান ঝীল
কুম্ভকর্ণ বসেন খেতে, বাকি সব তটস্থ
এত খাবার আনা বয়ে, হবে বড্ড কষ্ট
শত মন চাল, ভাতে বেড়ে, গোটা শ-এক পাঠা
রামপাখী টা খাওয়া বারণ, বলেছেন তার জ্যাঠা
শাক-সবজি, সেও প্রচুর, গামলা গামলা আসে
পড়ামাত্র পাতে যে সব, উবে যায় আকাশে
ভাতের শেষে মন্ডা-মিঠাই, এলো শত শত
মুহুর্তে সব উধাও হলো, যেন হলো গত
জনা কুড়ি পরিচারক, ঘন্টা তিনেক ঘুরে
মাথা ঘুরে পড়ল যে সব, হেসেল-খানা’র দোরে
এমন সময় কুম্ভকর্ণর জাগলো অনুকম্পা
সিংহনাদ এর মতন করে তোলেন ঢেকুর লম্বা
নগরবাসী স্বস্তি পেয়ে, ছাড়ে দীর্ঘ্যশ্বাস
আগামী ছ’মাসের মতন, উঠছে নাকো বাস
গৃহশত্রু
বিভীসন এর মনে ব্যথা, রাবন দাদা মারে
রোগা সোগা ছোট ভাই কি, তাহার সাথে পারে?
কুম্ভ দাদা দোসর আবার, বিশাল দুটি হাতে
জাপটে ধরে চিমটি কেটে, ব্যাঙ ছেড়ে দেয় পাতে
ভাইপো, সে তো যায় দাদা দের উপরে এক কাঠি
ছোট্ট হাতে চুল টা টানে, হাতে বিশাল লাঠি
বোনটি আমার সুর্পনখা, রূপে গুনে খাটো
রাগ টা ভোগে ছোট দাদা, যুক্তি আটো সাতো
সাধু বাবা বিস্রভা, আপন ভোলা মানুষ
ধ্যান এই তিনি থাকেন ব্যস্ত, মন টা যেন ফানুস
কৈকেশী মাতা’র উপর সংসার এরই ভার
শান্ত শিষ্ট বিভীসন, সে বড়ই প্রিয় তার
মায়ের আঁচল ধরে বিভি, অত্যাচার এর ত্রাসে
সব শুনে মা বলেন তাকে, আকাশে যে ভাসে
সেই ব্রহ্মা’র সরণ নে তুই, কর রে তার ই ধ্যান
উপায় তিনি বাতলে দেবেন, পাবি প্রচুর জ্ঞান
কঠোর ধ্যান এ বসলো বিভি, দিক বিদিক ভুলে
শরীর টা তার হলো কঠিন, মৌমাছি’র ই হুলে
খিদে তৃষ্ণা ভুলে যে সে করেই চলে ধ্যান
ব্রহ্মা বাবু এলেন শেষে, করেন যে ঘ্যান ঘ্যান
ঘ্যান ঘ্যানানি শুনে বিভি, ভুলল চাহিদাটা
বলল বসে, দেখতে সে চায়, বিষ্ণুদেব আর ঝাঁটা
ঝাঁটা দিয়ে ঝেটিয়ে যেন, তারান তাহার ক্লেশ
বিষ্ণুদেব এর ঝাঁটার জোরে, মিটুক ভয়ের লেশ
ব্রহ্মা ভাবেন, বিষ্ণু ঝাঁটা পাবেন কোথা থেকে
লক্ষী দেবী দেবেন কি ধার, তার হেসেল থেকে?
অবশেষে হলো রফা, ঝাটার পাল্টা চক্র
সুদর্শন এর নামে ডাকা, আকার তাহার বক্র
রফা’র পরে বিভীসন মহল পানে যান
দেখতে পেলেন রাবন দাদা, মাথে সিরস্ত্রান
পিছন পিছন সুন্দরী এক, রমনী বড় দুখী
চেরি’র দল ঘেরা তিনি, অশোক বোন্ মুখী
জানতে পেলেন সীতা হরণ করেছেন বড়দাদা
রাম রুপি বিষ্ণু যে তার ভার্য্যা সিধে সাদা
মনে মনে প্রমাদ গোনেন, বিভীসন ভীত
রাবন বুঝি অক্কা পেলেন, না পেলে অমৃত
প্রচুর বোঝান দাদা টিকে, বলেন ফেরত দাও
পরস্ত্রী কে হরণ করা, কোন শাস্ত্রে allow
রাবন দাদা দশটি মাথায়, মারেন তাকে ঢুসও
শাসান তাকে, “ভাগ ব্যাটা তুই, উড়ে যাবে হুঁস ও”
প্রানের ভয়ে পালান বিভি, পথ আগলে হনু
সব শুনে বগলদাবা, বিকল বিভির তনু
“আজ সকালে কর নি স্নান”, কাতর বিভি বলে
“বিকট গন্ধে প্রাণ টা যে যায়, জল ছিল না কলে”?
“পারফিউম টা গেছে পড়ে, লঙ্কা আসার পথে”
“আপাতত থাক না রে চুপ, বগল নামক রথে ”
“বিনা টিকেট এ আকাশ পথে, যাচ্ছি নিয়ে বেশ”
“শিগগিরই বল থাঙ্কু, বা, করে দেব শেষ”
গোবেচারা বিভীষণ, মুখটি বুজে রয়
ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ ডাকে, যদি কিছু হয়
অবশেষে করলো যে ল্যান্ড, হনুর বগল রথ
বানর সেনা সারি বেঁধে দেখায় তাদের পথ
এত বাদর দেখে বিভির, মনে বড় শংকা
আচড়-কামড় বাঁচিয়ে সে কি ফিরবে কভু লঙ্কা!
হঠাত দেখে সম্মুখে তে দন্ডায়মান রাম
ভক্তির স্রোত বইলো মনে, জানায় সে প্রনাম
খবর পেয়ে রাবন রাজা, করেন যে ঘোষণা
ঘরের শত্রু বিভির যেন, নাম টা না যায় শোনা
এই সংবাদ শুনে বিভি, করলো মা কে ফোন
জানায় তাকে, “বদলে গেছে, আমার আপনজন”
এই ভাবেতেই শিষ্ট বিভি গৃহশত্রু হলো
নামের উপর জীবনভোরের দাগ টা টা রয়ে গেল
সেয়ানা রাম করলো প্রচুর, বিভীসন এর ইউস
অবশেষে উড়ল বটে রাবন রাজার ফিউস
স্বর্ণ রহস্য
রাবন, কুম্ভ, বিভীষণ এর গল্প অনেক হলো
স্বর্ণ লঙ্কা গলিয়ে সোনা, শেষে কোথায় গেল?
এই প্রশ্ন করছে তাড়া, উত্তর না পাই
করতে বিচার বিবেচনা, বীর হনু কে চাই
সীতার সাথে করে দেখা, পেট টি ভরে ফলে
দিব্যি হনু ঘুমিয়ে ছিলেন, বট গাছ টি’র তলে
হনুমান এর লেজ বাবাজি, বড়ই সে চঞ্চল
খুঁজে নিল পাশের বাড়ি’র ফোকর সমতল
সেই বাড়িতে দুটি শিশু, করছিল যে খেলা
বিশালাকার লেজটা পেয়ে, করলো হেলা ফেলা
তাদের উপদ্রবে যে লেজ, এদিক ওদিক ধায়
নিজের সাথেই জড়িয়ে ফেলে, গিঠ তা পেকে যায়
নিদ্রাশেষে দেখেন হনু, লেজের করুণ দৃশ্য
গিঠ তো এ নয়, গাঁঠ হযেছে, ডগা, তা অদৃশ্য
প্রচুর চেষ্টা শেষে হনু, হলেন যে বেহাল
দোরে দোরে ঘোরেন তিনি, কাতর মহাকাল
রাজপ্রাসাদের রকে বসে, জনা কযেক ছোকরা
তিন পাত্তি খেলে তারা, ঝামেলা সেই বখরা
এমন সময় কাতর হনু, বিনয় সহকারে
বলেন তাদের, “দে না রে ভাই, গিঠ টা খুলে ওরে”!
মাতব্বর সে ছোকরা আসে, দুর্বুদ্ধি নিয়ে
আচ্ছা করে মোম সে ঘষে, লেজ এর উপর দিয়ে
সরল হনু মতলব ত়া’র, বুঝতে যে না পান
জ্বললে আগুন, দিলেন যে লাফ, হলো কয়লা জান
লেজের জ্বালায় হনু ছোটেন, যান যে বাড়ি বাড়ি
লেজে আগুন দেখেই যেন, দিল সবাই আড়ি
মুখের উপর দরজা বন্ধ, কেমন এ ভদ্রতা
রেগে হনু লেজটি খেলান, নিক শুষে আদ্রতা
অলি গলি, ঘুরে ফিরে, আগুন লাগান হনু
এই কাজেতে হলো বিকল, তার নিজের এ তনু
কোনক্রমেই দিলেন যে ঝাপ, গভীর সাগর তলে
জলে শীতল হলেন হনু, উর্ধে আগুন জ্বলে
লঙ্কাপুরী হুরোহুরি, অগ্নিগর্ভ সভা
সিংহাসনে উঠছে ইদুর, কালচে হচ্ছে আভা
রেগে আগুন রাবন রাজা, AC মিস্ত্রী ডাকে
সভাঘর টা গরম কেন, রাবন বলেন তাকে
ভয়ে কাতর মিস্তিরি টি, ফিসফিসিয়ে বলে
“সারা নগর জ্বলছে রাজা, জল নেই যে কলে”
এক হনু’র এই পরাক্রমে, প্রাণ করে যাই যাই
এতক্ষণে নগর বুঝি, হলো পুড়ে ছাই
এক বস্ত্রে রাবন রাজা, গোপন ঘরে ছোটেন
মন্দোদরী, দাসী নিয়ে, ওই ঘরেতেই ওঠেন
গুপ্ত সুরঙ্গ তে নেমে, ত্যাগিলেন ত়ার ঘর
হনু’র লেজ এর গিঠ এর জোরে, আপন হলো পর
সীতা রানী’র কপাল ভালো, অশোক বনটা দূর
অগ্নিদেব এর দাপট শেষে, হারালো টা’র সুর
প্রচন্ড সেই দাবদহে, যখন লঙ্কা কাশে
বরুন দেব এর হলো দয়া, দিলেন জল আকাশে
ঝর ঝর বরিষনে, এলো প্লাবন তায়
আকাশ বারি সমুদ্রেতে, কেমন মিশে যায়
লঙ্কা’র সব ভেজাল সোনা, মেশে যে সাগরে
লবন জলে সোনার গড়ন, নষ্ট চিরতরে
ইতিমধ্যে হনু বাবু, ওঠেন করে স্নান
চারি দিকে দেখেন চেয়ে, হযেছে যে সব ম্লান
পরম সুখে দম টি নিয়ে, মারেন যে এক লাফ
এক লপ্তে রামের চরণ, সবাই ছাড়ে হাঁফ
অবশেষে উদ্ধারিল, রহস্য যে সোনার
সর্ববৃহৎ স্বর্ণ খনি, প্রয়োজন নেই গোনার
সব ই গেছে, সাগর তলে, হয়ত মাছের পেটে
হয়ত বা তাই, জেলের জালে, সোনালী মাছ ওঠে